সরকার যখন নদী বাঁচাতে খননসহ নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করছে তখন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের নামে হুরা সাগর নদী ভরাট করছে উপজেলা প্রশাসন। এতে নদীর গতিপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
Courtesy: www.daily-bangladesh.com |
পাউবো বলছে, নদী ভরাট করা মানেই নদী খননে ডেল্টা পরিকল্পনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ অবস্থায় দ্রুত নদীরক্ষায় নদী ভরাট বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পাউবোসহ স্থানীয়রা।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর, কামারখন্দ ও বেলকুচির মধ্য দিয়ে হুরা সাগর নদীটি প্রবাহিত হয়ে শাহজাদপুর করতোয়া নদীতে মিশেছে। নদীটি চারটি উপজেলার মানুষের জন্য আশীর্বাদ। কৃষিকাজে সেচের জন্য নদীটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মৎস্য সম্পদেও নদীটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব থাকায় বিভিন্ন সময়ে নদীটি খনন করা হয়েছে।
সম্প্রতি ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় নদীটির খননের উদ্যোগ নিয়েছে পাউবো। এ অবস্থায় কামারখন্দ উপজেলা প্রশাসন নদীটির চৌবাড়ী পয়েন্টে মাটি ভরাট করে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।
ইতোমধ্যে কয়েক লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে নদী দখল করে বালু ভরাট করা হয়েছে। এতে নদীটির গতিপথ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা লাভু হোসেন, দুলাল হোসেন ও আজিজুল সেখ জানান, প্রবহমান নদীটি ভরাট করায় গতিপথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে নদীটি পানিশূন্য হয়ে মরাখালে পরিণত হবে। কৃষক ও জেলেদের চরম ক্ষতি হবে। চৌবাড়ী গ্রামের শহিদুল, আজিমুল ও গিয়াস উদ্দিন জানান, শুধু নদীই নয়, ব্যক্তিমালিকানা সম্পত্তিও জোরপূর্বক দখল করে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হচ্ছে।
একই গ্রামের ইসহাক হোসেন, দুলাল ও গোলজার হোসেন জানান, যেভাবে মাটি ভরাট করা হয়েছে তাতে বর্ষা মৌসুমে পানি ভরাটকৃত স্থানে পানি আঘাত হেনে পশ্চিম দিকে চলে যাবে। এতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়ে পশ্চিমপাড়ের বসতভিটা বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় আগামীতে হুরাসাগর নদীটির প্রায় ৩৫ কিলোমিটার অংশ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। এখন নদীটি ভরাট করে হত্যা করা হলে পাউবোর সেই পরিকল্পনা কোনো কাজেই আসবে না।
No comments:
Post a Comment