একদিনের ট্যুরঃ চন্দ্রনাথ পাহাড়, সুপ্তধারা ঝর্না এবং গুলিয়াখালি সী বিচ - NewsPhour

Breaking News

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

একদিনের ট্যুরঃ চন্দ্রনাথ পাহাড়, সুপ্তধারা ঝর্না এবং গুলিয়াখালি সী বিচ

লোকেশনের নামঃ চন্দ্রনাথ পাহাড়+সুপ্তধারা ঝর্না+গুলিয়াখালি সী বিচ

লোকেশনের বিবরনঃ ব্যস্ত সময়ের ভিতরে পাহাড়,ঝরণা এবং সবুজে ঢাকা পরিবেশে সময় কাটাতে চাইলে এ ট্যুর টা আপনার জন্যেই। ট্রেকিং,থ্রিলিং এবং ফুলমাস্তি করতে চাইলে এই প্লান টা আপনার জন্যে একদম সঠিক।

ব্যস্ততার মাঝে সবুজের সাথে একটুকু আনন্দ ভাগ করকার ভ্রমন প্লান এটি। বর্তমানে চন্দ্রনাথ পাহাড় হচ্ছে আলোচিত বিষয় এর শীর্ষে।



একদিনের ট্যুর হিসেবে চন্দ্রনাথ+গুলিয়াখালি+মহামায়া এ কায়াকিং এর মজাই আলাদা।
সমুদ্রের শীতল বাতাসে হাটতে কষ্ট হবে না বলাই বাহুল্য। আর গুলিয়াখালি সী বিচ পানি আর সবুজে ভরা সৌন্দর্য নিজ চোখে না দেখলে আপনার ভ্রমনটাই বৃথা। তাই আমরা আপনাদের জন্যে নিয়ে এসিেছ স্বল্প খরচে সবুজের মাঝে সময় কাটানোর সুবর্ন সুযোগ।

যাতায়াতঃ

মেইল ট্রেনই আমাদের ভরশা। চিটাগং মেইল ভারা ১১০ করে। ৭ টায় সীতাকুন্ড বাজার। হালাকা নাস্তা সেরে অতিরিক্ত পানি নিয়ে চলে যান পাহারের উদ্দেশ্যে। বাজার থেকে সিনজি জন প্রতি ২০ টাকা। নিচ থেকে বাশ কিনে নিন ১০ টাকা। বাশ এর উপকারিতা উঠার সময়ই বুঝবেন। পাহাড়ের চলা শুরু করার পর কিছু দূর যেতেই একটা ঝর্না পাবেন। এখান থেকেই আপনার যাত্রা শুরু। এখানে ২টা রাস্তা বাম এবং ডান। বাম দিকের টা উঠার জন্য আর ডান এর টা নামার জন্য ভাল। ১ ঘণ্টা ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে মন্দিরে। এত কষ্টের পর শীর্ষে যাবার পর যা দেখবেন তা এক কথায় অসাধারন। এখানে আপনার মন মত সময় কাটিয়ে নেমে আসুন। সিনজি করে চলে আসুন সীতাকুন্ড বাজারে।

ভারি খারাব খেয়ে নিন।



এবার গন্তব্য ঝর্না। বাজার থেকে বাস জন প্রতি ১০ টাকা সীতাকুন্ড ইকো পার্ক। মেইন রোড থেকে হাটা দিন। ১০ মিনিট এর মধ্যে মেইন গেট। ইকো পার্ক এর এন্ট্রি ২০ টাকা জন। একটাই পিচ ঢালা রাস্তা, হাটা দিন। গেইট থেকে ঝর্নার দূরত্ব ১.১ কিলো। প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে দেখতে চলে আসবেন, (রাস্তা বাম দিকে বাক নিয়েছে) একটি দোকানের কাছে। এখান থেকে ডান দিকে সিঁড়ি পাহাড়ের নিচে যাবার সিঁড়ি। নামুন (অনেক খাড়া সিঁড়ি, সতর্ক ভাবে নামুন)। সিঁড়ি শেষে ঝিরি পথ। পথের বাম পাশ দিয়ে চলুন। কান পাতুন, গর্জন শুনতে পাচ্ছেন। কিছু দূর যাবার পরি দেখা মিলবে অপরূপ সৌন্দর্যের সুপ্তধারা ঝর্নার। এটি জেগে উঠে বর্ষায়। এতো কষ্টের ফল বিফলে যায় নি।

গাইডের জন্যে


মেইন রোড থেকে বাসে করে চলে আসুন বাজারে। নাস্তা করে নিন।

এবার আসা যাক গুলিয়াখালি নিয়ে কিছু কথা বলা। এখানে বিকালে যাওয়াটাই ভাল। বিকাল ভাঁটা এর সময়। জোয়ারে এ গেলে দেখবেন সুন্দর গাছ গুলো পানির তলে।

তাই বিকালে বাজার থেকে সিনজি করে চলে আসুন বিচের দিকে। জন প্রতি ৩০ টাকা। এখান থেকে আবারো হাটা দিন। সমুদ্রের শীতল বাতাসে হাটতে কষ্ট হবে না বলাই বাহুল্য। আর গুলিয়াখালি সী বিচ নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই। ইতি মধ্যে সবাই জানে এর সৌন্দর্যের এর কথা। বাজারে চলে আসুন বিচে একটু দাপাদাপি করে।

সকল ঘুরাঘুরি শেষ। এবার নীড়ে ফিরার পালা।

সম্ভাব্য খরচের পরিমানঃ

(মেইল) কমলাপুর থেকে ট্রেন ১১০ টাকা ( তবে আপনি চাইলে বাসেও যেতে পারবেন )
সীতাকুন্ড বাজার থেকে পাহাড় ২০ টাকা
পাহাড় থেকে বাজার ২০ টাকা
বাজার থেকে ইকো পার্ক মেইন রোড ১০ টাকা
পার্কে এন্ট্রি ২০  টাকা
পার্ক থেকে বাজার ১০ টাকা
বাজার থেকে গুলিয়াখালি ৩০ টাকা
গুলিয়াখালি থেকে বাজার ৩০ টাকা
বাজার থেকে বাসে চিটাগং ৩০ টাকা
(মেইল) চিটাগং থেকে ট্রেন কমলাপুর ১২৫ টাকা
(জনপ্রতি ভাড়া) মোট ৪০৫ টাকা

খাওয়া দাওয়া আপনার উপর। এখানে শুধু যাতায়েত খরচ।
ঢাকা আসার সময় এক্সপ্রেস ট্রেন অথবা বাস এ করে চলে আসলে ভাল হবে। মেইল এ মেলা কষ্ট।

ট্যুরে যেতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রঃ

পাহাড়ে উঠবার সময় বাশ থাকলেই যথেষ্ট।

ভ্রমনে থাকবার জায়গাঃ 

যদি আপনাদের ইচ্ছা থাকে ১ দিনের জন্যে ভ্রমণ করবার তাহলে থাকবার জায়গা খুজবার কোনো দরকার নাই।
গাইডের জন্যে
আর যদি ২দিন থাকতে চান, তবে নেমে চলে আসতে হবে বাজাওে এবং সেখানে থাকবার মোটামুটি হোটেল পেয়ে যাবেন।

সতর্কতাঃ

যদি আপনার ভ্রমণে যাবার সময় বর্ষাকাল হয় তবে যথেষ্ট সাবধান থাকতে হবে। কারন রাস্তা তখন খুবই পিচ্ছিল হয়ে যায়।
আর গুলিয়াখালি সী-বীচে সাবধানে ঘুড়বেন, কারন ওইখানে প্রচুর লাল কাকড়া থাকে। এবং মাঝে মাঝে সাপও দেখতে পারেন। তাই একটু সতর্কভাবে চলা ভালো।
এবং  এলাকার স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা কাটাকাটি থেকে দুরে থাকবেন।
Courtesy: TOB (Travellers Of Bangladesh)

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here