অনেকেই বলেন যে, মরে গেলাম না জানি বেচে গেলাম। কিন্তু মরবার পরেও হয়ত শেষকাজ পর্যন্ত হয়ত লাশটি আর সুরক্ষিত থাকে না।
পুরো লাশটি চলে যায় পিপড়াদের দখলে।
লাশটির পুরো শরীর জুড়ে থাকে পিপড়া আর পিপড়া। লাশটির চোখ
পর্যন্ত খেয়ে ফেলে।
আত্নীয়-স্বজন একটু দেরী করে এলেই লাশটি আর সুরক্ষিত পাবেন না।
এমনি ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক সরকারি হাসপাতালে।
ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে থাকা মরাদেহের দিকে কারো কোনো খেয়ালই
নাই।
খবর পাওয়ামাত্র বুধবার মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ পুরো বিষয়টি
খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে এ ঘটনায় বরখাস্ত করা হয়েছে একজন সার্জনসহ পাঁচ
চিকিৎসককে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে পিঁপড়া ধরা সেই
মরদেহের ছবি। আর তারপর থেকেই মধ্যপ্রদেশের শিবপুর জেলা হাসপাতালের এই ঘটনা নাড়িয়ে
দিয়েছে পুরো ভারত।
বার্তা সংস্থা এএনআই বলছে, মরদেহ ৫০ বছর বয়সী বালাচন্দ্র লোধির। মঙ্গলবার মারা যান তিনি। তারপর থেকেই মেডিক্যাল ওয়ার্ডে পড়ে আছে দেহ। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ।
টুইটারে তিনি লেখেন, শিবপুরের জেলা হাসপাতালে মৃত রোগীর শরীরে
ঘুরে বেড়াচ্ছে পিঁপড়া। এ ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বালাচন্দ্র।
ভর্তি হওয়ার ঘণ্টা পাঁচেকের মধ্যে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অভিযোগ উঠেছে,
ওই ওয়ার্ডের অন্যান্যরা মরদেহ নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানালেও হাসপাতালের কর্মীরা তাতে কর্ণপাত
করেননি।
ফলে সেখানেই পড়ে থাকে বালাচন্দ্রের দেহ।
এমনকি আজ সকাল ১০টা
নাগাদ এক চিকিৎসক ওই ওয়ার্ডে এসে বাকি রোগীদের দেখে যান। কিন্তু মৃতদেহ সরানো নিয়ে
কোনো উদ্যোগ নেননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যায়, মৃতের
স্ত্রী রামশ্রী লোধি স্বামীর দেহ থেকে পিঁপড়া সরাচ্ছেন। এমন ছবি মানব সমাজের জন্য
অত্যন্ত লজ্জার। প্রত্যেকেই এর তীব্র নিন্দা করেছেন। সেই সঙ্গে দোষীদের কঠোর শাস্তির
দাবি জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment