চকলেটের লোভ দেখিয়ে পাশের বাড়ির তরুন কর্তৃক শিশু ধর্ষণ - NewsPhour

Breaking News

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Wednesday, October 30, 2019

চকলেটের লোভ দেখিয়ে পাশের বাড়ির তরুন কর্তৃক শিশু ধর্ষণ

চকলেটের লোভ দেখিয়ে পাশের বাড়ির তরুন কর্তৃক শিশু ধর্ষণ

‘হটাৎ মেয়ের চিৎকার শুনে আমরা দৌড়ে পান্নুর ছেলে ফাহাদা খন্দকরের ঘরে যাই। মেয়েকে তখন রক্তাক্ত অবস্থায় পাই। ফাহাদার মা লাভলী বেগমও তখন সেখানে ছিল। সে তার ছেলেকে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দেয় এবং বিষয়টি জানাজানি হলে বড় হয়ে মেয়ের ক্ষতি হবে বলে বোঝাতে থাকে। তিনি হোমিওপ্যাথি ওষুধও কিনে দেয়।’

পরে তিনি মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে চলে যান এবং কথা বলে জানতে পারেন ‘চকলেট দেওয়ার কথা বলে’ ফাহাদা তাকে ঘরে ডেকে নিয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আমার বাচ্চাটারে ধর্ষণ করছে। আমি ওই ছেলের বিচার চাই।’

Courtesy

শিশুটির মা আরও বলেন, আমরা তাদের কথা মত ‘লোকলজ্জার ভয়ে’ প্রথমে বিষয়টি কাউকে জানাতে চাইনি। কিন্তু বাচ্চার রক্ত বন্ধ না হওয়াতে আমরা হাসপাতালে যাই।

ঘটনার ছয় দিন পর গেল রোববার (২৭ অক্টোবর) শিশুটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ফাহাদা খন্দকারকে (১৮) আসামি করে মোল্লাহাট থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

শিশুটির পরিবারের ভাষ্য, ঘটনার পর ধর্ষকের পরিবারে কথায় লোকলজ্জার ভয়ে তাঁরা প্রথমে বিষয়টি প্রকাশ করতে চাননি। কিন্তু বাড়িতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়াতে দুদিন পর শিশুটিকে নিয়ে তাঁরা মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখান থেকে গত শনিবার চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুটিকে নিয়ে তাঁর বাগেরহাট সদর হাসপাতালে যান।

বর্তমানে শিশুটি বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে মানসিক ট্রমা আছে, বলছেন চিকিৎসক

সোমবার (২৮ অক্টোবর), হাসপাতালে বসে শিশুটির মা বলেন, ২২ অক্টোবর বিকেলে প্রতিবেশি পান্নু খন্দকারের বাড়ির উঠানে আরও কয়েক শিশুর সাথে খেলছিল তার মেয়েটি। তিনিও সে সময় ওই বাড়িতেই ছিলেন। পান্নু খন্দকারের ঘরে তার স্ত্রীর সাথে বসে গল্প করছিলেন।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শেখ ইমরান মোহাম্মদ বলেন, ‘মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গত ২৬ তারিখ শিশুটিকে নিয়ে তাঁর পরিবার এখানে আসে। আমরা শিশুটিকে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছি। তাঁর শারিরীক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ঘটনার বেশ কদিন পর এখানে আনা হয়। হাসপাতালে ভর্তির সময়ও তারা ওই ঘটনায় কোন মামলা করেছিল না।’

মামলা দায়ের পর পুলিশের আবেদন অনুযায়ী সোমবার শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবীর বলেন, বিষয়টি জানতে পরে আমরা শিশুটির পরিবারের সাথে কথা বলে মামলা নিয়েছি। শিশুটির মা বাদী প্রতিবেশি ফাহাদা খন্দকরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।

ঘটনার পর থেকে আসামি ফাহাদা পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here