১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। আর কালের ধারাবাহিকতায় এবার নোবেল পেলেন তারই ছাত্র অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়।
একেই হয়ত বলে যোগ্য গুরুর যোগ্য যোগ্য শিষ্য।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখাপড়া কলকাতায়। তাঁর বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন কলকাতার তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক।
অভিজিতের জন্ম মুম্বাইতে ১৯৬১ সালে হলেও তাঁর শৈশব কেটেছে কলকাতায়। সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়াশোনা। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে ডিগ্রি নিয়ে চলে যান দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে।
সেখান থেকে তিনি চলে যান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ১৯৮৮ সালে ‘ইনফরমেশন ইকোনমিকস’-এর ওপর তিনি পিএইচডি ডিগ্রি করেন।
বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় আর গুরু অমর্ত্য সেনের যোগ্য উত্তরসুরী অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়।
দারিদ্র্য দূরীকরণে অসামান্য গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ এবার এই তিন অর্থনীতিবিদকে নোবেল দেওয়া হয়। অভিজিৎ বর্তমানে মার্কিন নাগরিক।
তবে তিনি এখনো একজন আদ্যন্ত বাঙালি। বাংলায় কথা বলেন, লেখেন।
কলকাতায় আসেন বিভিন্ন সেমিনারে যোগ দিতে। ২০১২ সালে স্টার আনন্দের সেরা বাঙালি সম্মাননা পান তিনি।
অভিজিৎ ও দুফলোর দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে লেখা ‘পুওর ইকোনমিকস’ বইটি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়। অধ্যাপক অমর্ত্য সেনও সেই বইয়ের প্রশংসা করেন।
অভিজিতের নোবেল প্রাপ্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ দেশকে গর্বিত করলেন। বাঙালির মুখ উজ্জ্বল করলেন। আমাদের গৌরব বাড়ালেন। অর্থনীতিতে নতুন দিশা দেখিয়েছেন।’
কলকাতার বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিক সরকার বলেছেন, অমর্ত্য সেনের পর অভিজিৎ অর্থনীতিতে নোবেল পেয়ে বাঙালির গৌরব বাড়ালেন। দারিদ্র্য দূরীকরণে নতুন দিশা দিলেন।
এ খবরে প্রেসিডেন্সি কলেজে খুশির হাওয়া বইছে। ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment