ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয়েছে।
টাইগারদের পরবর্তী মিশন ভারত সফর। আগামী নভেম্বরে ৩টি টি-টোয়েন্টি ও ২টি টেস্ট খেলতে ভারত সফরে যাবে টাইগাররা। সাকিব ছাড়া বাংলাদেশ দলের সব ক্রিকেটারই ভারত সফরের আগে প্রস্তুতি নেবেন জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলার মধ্য দিয়ে। তবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান জাতীয় দলের জার্সিতে পরবর্তী মিশনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলার মাধ্যমে।
ভারত সফরে চোখ রেখে সিপিএলের এবারের আসরে অংশ নিতে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা ত্যাগ করেছেন সাকিব। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান টাইগার দলপতি।
Courtesy: en.wikipedia.org |
এদিকে টি- টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে সাকিবের। আগের চেয়ে ৫ ধাপ এগিয়ে এখন ৩২ নম্বরে আছেন তিনি। তবে পিছিয়েছেন বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে। সেরা দশে ১ ধাপ পিছিয়ে তার অবস্থান এখন ৮ নম্বরে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এবারের আসর শুরু হয়েছে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে আগামী ১২ অক্টোবর।
জাতীয় দলের জার্সিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট এবং এরপর ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ব্যস্ত থাকায় চলতি সিপিএলে এখন পর্যন্ত খেলা হয়নি বিশ্বসেরা টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। তবে সিপিএলের চলতি আসরের শেষ দিকে এসে বেশ কিছু ম্যাচে দেখা যাবে বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে।
সিপিএল খেলার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন সাকিব। তার আবেদনে সাড়া দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।
সাকিব এবারের সিপিএলে খেলবেন তার পুরনো দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে।
মঙ্গলবার ফ্রাঞ্চাইজিটির পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতির মাধ্যমে সাকিবের অন্তর্ভুক্তি ও খেলার বিষয়টি জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার নিজেও গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের পরের মিশন ভারত সফর। এর আগে আমি সিপিএলে খেলতে যাচ্ছি। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ক্রিকেট লিগ। এই লিগে নামকরা ক্রিকেটাররা খেলেন। আমি মনে করি, ভারত সফরের আগে এটা আমার জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। নভেম্বরের ভারত সফর আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা সবাই খুব ভালো করেই জানি।
অতীতে সিপিএলের আরো তিনটি আসরে খেলেছেন সাকিব। প্রথমবার তিনি সিপিএলে খেলেছিলেন ২০১৩ সালে। এরপর টুর্নামেন্টটির ২০১৬ ও ২০১৭ সালের আসরেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
সিপিএলে ৩ আসরে মোট ২৪ ম্যাচ খেলে ২৪৩ রান করেছেন সাকিব। আর বল হাতে পেয়েছেন ২৫ উইকেট। টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগার তার দখলে। ২০১৩ সালে বার্বাডোজের হয়ে মাত্র ৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। ম্যাচটিতে সাকিবের দলের প্রতিপক্ষ ছিল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স।
Courtesy: www.behance.net |
সাকিবের সঙ্গী হিসেবে আফিফের সিপিএল খেলতে যাওয়ার কথা থাকলেও অনুমতি পাননি ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ। তবে শেষ মুহূর্তে বোর্ডের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ায় সাকিবের সঙ্গে সিপিএল খেলার উদ্দেশ্যে গতকাল রাতে দেশ ছেড়েছেন লিটন দাস।
ফ্রাঞ্চাইজি লিগে সাকিব :
বিশ্বের ৫টি জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন সাকিব আল হাসান।
বিপিএল, আইপিএল, পিএসএল, বিগব্যাশ ও সিপিএলের একাধিক আসরে অংশ নেয়া একমাত্র টাইগার ক্রিকেটার তিনি।
২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া বিপিএলের এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৬ আসরের সব কটিতেই খেলেছেন এই অলরাউন্ডার।
সিপিএলের ২০১৩, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের আসরে খেলেছেন তিনি।
২০১১ সাল থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিএলে খেলছেন সাকিব।
এ পর্যন্ত তিনি আইপিএলে ৬৩টি ম্যাচ খেলে ৭৪৬ রান করার পাশাপাশি ৫৯ উইকেট পেয়েছেন।
করাচি কিংসের হয়ে সাকিব প্রথমবার পিএসএলে অংশ নেন ২০১৬ সালে।
২০১৪ সালে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে প্রথমবার বিগব্যাশ খেলেন তিনি।
২০১৫ সালে সাকিব বিগব্যাশ মাতান মেলবোর্ন রেনেগার্সের জার্সিতে।
Courtesy: www.bhorerkagoj.com
No comments:
Post a Comment